
মুগ্ধবাংলার নতুন বছরে সকল সদস্যদের আরও একবার শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ একটা নতুন ঘোষণা করছি, যা মুগ্ধবাংলার সকল সদস্যদের মনের আশঙ্কা আশা করছি দূর করবে। গত পয়লা এপ্রিল মুগ্ধবাংলায় ঘোষিত মুগ্ধবাংলার দ্বিতীয় বর্ষ ও একটি দুঃখজনক ঘোষণা -পোস্টে আমরা ভাবনা চিন্তা করছিলাম, মুগ্ধবাংলায় Premium Membership চালু করা যায় কিনা। বস্তুত,মুগ্ধবাংলার নতুন নতুন কমিকস মুগ্ধবাংলার কয়েকজন "নির্লজ্জ" সদস্য অন্য অন্য সাইটে যথেচ্ছ শেয়ার করছিল, যা রুখতে এছাড়া অন্য বিকল্প পথ জানা ছিল না। অথচ, সদস্যদের হারাতেও আমরা চাই না, বিশেষ করে ওপার বাংলার অগণিত সদস্যদের যাদের Premium Membership নেবার কোনও উপায় ছিল। এমতাবস্থায়, সম্মানিত সদস্যদের কয়েকজন, সদস্যদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি সংগ্রহের কথা সাজেস্ট করেছিলেন অর্থাৎ ই-মেল আইডি বা ফোন নং। এসুত্রেই ইন্টারনেট জগতের বহুল ব্যবহৃত Facebook Login সিস্টেমের কথা মাথায় আসে। সেইমত আমি আর শরদিন্দু এ বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করি, স্ট্রাটেজি গ্রহণ করি, যার ফলশ্রুতি, ৭৮ ঘন্টা মুগ্ধবাংলার সার্ভার ওয়ার্ক। কারণ পুরানো সার্ভার সিস্টেমে নতুন ফেসবুক লগিন সিস্টেম কাজ করছিল না। যাই হোক, সার্ভার সিস্টেম আপগ্রেডের পর ফেসবুক লগিন কাজ করছে এবং ঠিক করেছি, প্রত্যেক সদস্যের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আমরা আমাদের মুগ্ধবাংলা অ্যাকাউন্টে যোগ করব, যদিও সাইটের পুরানো লগিন ও রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমই থাকবে(ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড)। কিন্তু সেটা কীভাবে আমাদের ওইসব "নির্লজ্জ" সদস্যদের বহিষ্কারে সাহায্য করবে?
প্রথমে, সদস্য তার ইউজার প্যানেলে গিয়ে verify বোতামে ক্লিক করবে, সঙ্গে সঙ্গে ইউজার তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পেজে চলে যাবেন যেখানে তাকে তার ফেসবুক প্রোফাইল ডেটা একসেসের জন্য মুগ্ধবাংলাকে অনুমতি প্রদান করবে। এর ফলে আমরা তার ইউনিক ফেসবুক আইডি, তার ফেসবুকে দেয়া সম্পুর্ণ নাম এবং ফেসবুকের সঙ্গে সংযুক্ত ইমেল অ্যাড্রেস (যদি দেয়া থাকে) পাবো। এরপর ফেসবুক তাকে সরাসরি মুগ্ধবাংলা সাইটে ফেরত পাঠাবে, যেখানে সে দেখতে পাবে আমরা তার কোন ডেটা সংগ্রহ করছি। এই ডেটা সে সংরক্ষণের জন্য 'কমপ্লিট ভেরিফিকেশনে' ক্লিক করলেই আমরা তার ওই ফেসবুক ডেটা আমাদের সার্ভারে ওর অ্যাকাউন্টে যুক্ত করব। এই ভাবে তার ফেসবুক ভেরিফিকেশন হবে।
এ তো গেল টেকনিক্যাল বিষয়, এবার আসল কথায় আসি। এই সাইটে আজ উনিশে এপ্রিল,২০২০ তারিখ পরবর্তী যত নতুন বই দেয়া হবে, ফেসবুক ভেরিফিকেশন ছাড়া কেউ সেই বই ডাউনলোড করতে পারবে না, ক্রেডিট থাকলেও। আর কেউ যদি এই মেসেজ পরার পর ফেক ফেসবুক আইডি বানিয়ে তার সাহায্যে এই ভেরিফিকেশন করে, তবে তার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড ও ক্যানসেল হয়ে যাবে যে কোনও সময়। আমি ও বন্ধু শরদিন্দু আজ থেকে যে সব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই হবে, তাদের আইডির মাধ্যমে তাদের অ্যাকাউন্ট ভিজিট করব ব্যক্তিগতভাবে এবং ৬মাসের কম পুরানো আইডিগুলি আইডেন্টিফাই করে তাদের সাসপিসাস হিসাবে মার্ক করব (যদি ১৯শে এপ্রিল,২০২০র আগের করা হয়) বা সাসপেন্ড করব। তাছাড়াও ফেসবুক ইউজারের যে সম্পুর্ণ নাম আমাদের সার্ভারে সঞ্চিত হল, সেটা যদি পরবর্তীতে পালটে যায় (বাংলা থেকে ইংরেজী বা ইংরেজী থেকে বাংলা বাদে যেমন Rani <-> রাণী বাদে) তাহলেও তার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হবে; তবে এডমিনকে মেসেজ করে আগেই সেকথা জানালে ঠিক আছে। অর্থাৎ কিনা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যথেষ্ট পোক্ত ও একটিভ থাকতে হবে। যাই হোক, আশা করি মুগ্ধবাংলার সদস্যদের এই বিষয়ে কোনও আপত্তি থাকবে না। আর আমাদের তরফ থেকে এটাই আপনাদের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার যে, আপনাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের কোনও অপব্যাবহার করবো না আমরা, খুব বেশি হলে আপনাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাতে পারি। তবে, যে বা যাঁরা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের পরও নির্লজ্জের মত এই সাইটের বই অন্য কোথাও শেয়ার করবেন, তাঁকে আইডেন্টিফাই করা হলে তার ফেসবুক আইডি এখানে পাবলিশ করে দেয়া হতে পারে,তখন, মুগ্ধবাংলার কোনও সদস্য যদি তার টাইমলাইনে গিয়ে গালিগালাজ করেন, তো তার জন্য মুগ্ধবাংলা কোনও মতেই দায়ী হবে না।
সুতরাং আপাতত Premium Membership-এর পরিকল্পনা স্থগিত, আর সকল সদস্যদের অনুরোধ, ভালোভাবে এই ঘোষণাটি পড়ে তবেই যত শীঘ্র সম্ভব ফেসবুক ভেরিফিকেশন করে ফেলুন। ধন্যবাদ ও শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
পুনশ্চঃ, যদি কোনও সদস্যের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না থেকে থাকে, তবে আমাকে মেসেজ করুন ও একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আজই খুলে ফেলুন। মুগ্ধবাংলার সক্রিয় সদস্য হয়ে থাকুন, ৬মাস পর নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলির সাস্পিসাস স্ট্যাটাস তুলে নেয়া হবে। তখন ডাউনলোড করবেন।
বিনা অনুমতিতে কমিকস চুরি/শেয়ার রোধ করতে যে কোন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই! আশা করি বইচোর ব্যতীত সকলেই এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাবে!
Bah...darun ...ei niyome bolar kichhu nei....asha korbo sabai sampurno sahojogita korben.......onek onek dhonyobad
@Imrann, প্রস্তাবটা মন্দ নয়। কিন্তু এখনই আমরা প্রচার বাড়াতে চাই না। ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার বেড়ে গেলে যদি হিতে বিপরীত হয়!সেই ভয়টা এখনও রয়েছে।